Armstrong Murder: খাবার ডেলিভারি বয় সেজে একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি কুপিয়ে খুন করলো তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক নেতা তথা বিএসপি প্রধান কে আর্মস্ট্রংকে। ঘটনার পর চেন্নাইয়ের রাস্তায় দলীয় সমর্থকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে।
সুত্র মারফত খবর বাড়ির সামনেই একটি কনস্ট্রাকশন সাইটে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথোপকথনে ব্যস্ত ছিলেন আর্মস্ট্রং। হঠাৎই সেখানে ছয়জনের একদল দুষ্কৃতি বাইকে সওয়ার হয়ে ডেলিভারির লোকজন পরিচয় দিয়ে হাজির হয় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। খবর পেয়ে তার বাড়ির লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করে। কিন্তু চিকিৎসকরা আউস্ট্রংকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই হত্যার পিছনে কি কারণ তা যদিও এখনো স্পষ্ট নয় । চেন্নাইয়ের এক উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে তবে হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ সম্পর্কে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় । তবে গত বছর সুরেশ নামে দুষ্কৃতী দলের এক নেতা ওই একই জায়গায় খুন হয়। এই ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। ইতিমধ্যেই পুলিশ সন্দেহভাজন ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। দশজনের একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের জেরা করে ও উপযুক্ত তল্লাশির পরই খুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এই ঘটনায় রাজ্যের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ডিএমকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিরোধীরা।তামিলনাড়ুর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ই পালানিস্বামী বলেন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। এক জাতীয় দলের সভাপতি খুন হয়েছেন,এরপর আর কি বলার থাকতে পারে। আইন বা পুলিশকে আর ভয় পায় না দুষ্কৃতীরা।পেশাগত দিক থেকে আর্মস্ট্রং ছিলেন একজন আইনজীবী। তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। ২০০৬ সালের চেন্নাই কর্পোরেশন কাউন্সিলের ইলেকশনে তিনি কাউন্সিলর হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন। বছর দুই আগে তারই ডাকে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর সাথে এক বিরাট জনসভার আয়োজন করেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তার নাম বিশেষ চর্চায় উঠে এসেছিল। তামিলনাড়ুর দলিত সম্প্রদায়ের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এই ঘটনায় ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নেত্রী মায়াবতী। খুনের পিছনে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে চরম শাস্তি দেওয়া উচিত বলে তিনি দাবি করেছেন।